পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, ১৮ নভেম্বর আওয়ামী লীগের নাগরিক সমাবেশ উপলক্ষে একটি প্রস্তুতি সভা ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম চলছিল। এ সময় কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ময়লা ফেলে সভায় বাধার সৃষ্টি করা হয়। এটা করার মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে বাধা দিয়েছে।
মেয়রের সঙ্গে আপনার দ্বন্দ্বের কারণে এমন হচ্ছে—এ প্রশ্নের জবাবে শাহে আলম মুরাদ বলেন, ‘আমি তাঁর সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব করতে চাই না। আমরা আওয়ামী লীগ করি। আমরাই তাঁকে মেয়র বানিয়েছি। তিনি তাঁর কাজ করবেন, আমি আমার কাজ করব—এখানে দ্বন্দ্বের কিছু নেই।’
এ ব্যাপারে জানতে মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে কথা বলতে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শেখ বলেন, একই সময় কর্মসূচি থাকায় সকাল থেকে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের লালবাগ জোনের উপকমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সকাল থেকে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। মারামারি একপর্যায়ে পার্ল হারবার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে রাখা তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। কোন পক্ষ আগুন দিয়েছে কিংবা কার মোটরসাইকেল পোড়ানো হয়েছে, তা জানা যায়নি। বেলা একটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।