কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইকোফিশ-২ প্রকল্পের প্রশিক্ষণ প্রদান-TCN 24
প্রকাশিতঃ 12:53 am | July 28, 2020

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
কক্সবাজারের বিএফডিসি ফিশারী ঘাট এবং চৌফলদন্ডী ঘাটে বঙ্গোপসাগরের প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ফিশিং ট্রলারের ৪০ জন মাঝিকে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে ইউএসএআইডি (USAID) এর অর্থায়নে ওয়ার্ল্ডফিশ এবং মৎস্য অধিদপ্তর বাস্তবায়নে ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী জেলেদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তার বক্তব্যে বলেন “সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং মৎস্য সম্পদ সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। এক্ষেত্রে জেলেরা অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে পারে। এই বিশাল জলরাশির মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বৃদ্ধি, সংরক্ষণে এবং দূষণ রোধে জেলেদের মাঝে এধরনের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ খুবই জরুরী”। জেলেরা যেন ডিমওয়ালা ইলিশ সহ অন্যান্য মাছ না ধরেন, কারেন্ট জাল /বেহুন্দী জাল ব্যবহার না করেন সে বিষয়ে তিনি আহবান জানান।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদর, কক্সবাজার) তারাপদ চৌহান বলেন “সমুদ্রের প্রতিবেশ, খাদ্য জাল এবং খাদ্য শৃঙ্খল রক্ষায় তিমি, ডলফিন, হাঙ্গর, কাছিম সহ অন্যন্য বিপন্ন প্রজাতির প্রানীরা প্রধান ভূমিকা পালন করে। তাই জালে আটকে পড়া মাত্র কোন ক্ষতি না করে এদের দ্রুত সাগরে ছেড়ে দিতে হবে। ফিশিং বোট থেকে কোন অপচনশীল বর্জ্য সাগরে না ফেলার জন্য জেলেদের সদিচ্ছা কামনা করেন”।
বঙ্গোপসাগরের প্রতিবেশ এবং বিপন্ন প্রজাতির জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব ও সংরক্ষণে জেলেদের করনীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন ইকোফিশ-২ প্রতিনিধি মুহাম্মদ আরিফুর রহমান।
এছাড়াও সাগরে সঠিকভাবে মাছ সংরক্ষণ এবং নিরাপদ অবতরণে করণীয় বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিএফডিসি ফিসারী ঘাটের ব্যবস্থাপক মোঃ জাহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারে সামুদ্রিক প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সদর, মহেশখালী, উখিয়া ও টেকনাফে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ব্যাপক কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করছে ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ। ইকোফিশ-২ এর টিম লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর ড. আব্দুল ওহাব।