বিদ্যুৎ মিস্ত্রি থেকে কোটিপতি বিসিকের আব্দুল খালেক। তার ক্ষমতায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
প্রকাশিতঃ 12:02 am | August 08, 2020

মনছুর আলম মুন্না কক্সবাজার
দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে ইয়াবা নিয়ে আটক হয়ে জেল কাটার পরও বের হয়ে ফের বেপরোয়াভাবে দিন দিন তার এই ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আব্দুল খালেক নামের এই কু্ক্ষাত ইয়াবা ব্যবসায়ীর কারনে বিসিক এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। তিনি শুধু ইয়াবা নই তার নিত্য দিনের অনৈতিক কাজ চিন্তায়, চাঁদাবাজি এবং ইয়াবা সেবন এবং পরিবহনের কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ বিরক্ত হয়ে উঠেছে। তবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করারও সাহস পাচ্ছেনা। এছাড়া আবদুল খালেকের সাথে সম্প্রতি নতুন করে এলাকার অনেক উঠতি বয়সের তরুণ মরন নেশা ইয়াবা ব্যাবসায় জড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। তাই এই কুক্ষাত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
শহরতলীর ঝিলংজা ইউনিয়নের বিসিক উঠনি এলাকার লোকমান হাকিমের ছেলে আবদুল খালেক ৪/৫ বছর আগেও এলাকায় সামান্য কারেন্ট মিস্ত্রির কাজ করতো পরে টমরম চালিয়ে কোন প্রকারে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু এখন সেই খালেকের রয়েছে তিনটি দোকান আলিশান দুটি বাড়ি পাঁচ লাখ সত্তর হাজার টাকা দামের মোটর সাইকেলসহ অনেক জমি।
সরে জমিনে খুঁজ নিয়ে জানা যায় যে,বিসিক এলাকা থেকে ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার সময় সর্ব প্রথম আটক হন চট্টগ্রামে এই আব্দুল খালেক। পরে দীর্ঘদিন জেল কেটে এসে আবারও পুরোদমে চালাচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা। ইয়াবার কল্যাণে এখন কোটিপতি বনে গিয়ে এলাকার মানুষকে সীমাহীন অত্যচার করছে।রাস্তা দিয়ে যাওয়া সে কোন মানুষকে তল্লাশীর নামক হয়রানী, মানিব্যাগ থেকে জোরপুর্বক টাকা ছিন্তায়, জমি দখল করতে ভাড়াটিয়া গুন্ডা হিসেবে ব্যবহার হওয়াসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা আবদুল খালেক করছেনা। সম্প্রতি পিএমখালীর চনখোলা এলাকায় একটি জমিতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে আটক হয়ে দীর্ঘদিন জেল কেটে এসে আবারও তার বাহিনী দিয়ে শুরু করছে নানান অপকর্ম। এলাকাবাসীর দাবী খালেকের দুই স্ত্রীর মধ্যে এক স্ত্রীর বাড়ি টেকনাফের নাজির পাড়া সেখান থেকে প্রতিনিয়ত ইয়াবা এনে কক্সবাজার জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছে সে।তার এ কাজে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে তার মা বোনসহ নিকট আত্মীয় স্বজনরা। আর কেউ সামান্য প্রতিবাদ বা কিছু করলেও ব্যাপক মারধরসহ সম্মানহানী করে।সম্প্রতি আবদুল খালেকের ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে কারাগারে আছেন স্থানীয় এক হাফেজ হারুন। এলাকায় এসে তদন্ত করলে বুঝা যাবে বর্তমানে এলাকার প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ জন উঠতি বয়সের ছেলে আছে তার ইয়াবা পরিবহন করে বিনিময়ে তারা বিপুল টাকা পায়। ফলে এলাকার ছেলেরা আর লেখাপড়া কিংবা কোন কাজ না করে এখন ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত চিহ্নিত মাদক কারবারি আবদুল খালেক সহ তার সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।